পারমিতা পাল, ফেসবুক: বৃষ্টি খাতুন নিজের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী রাখছে এটা খুব ঠিক আছে। নিজের নাম একটা বড় ব্যাপার, সেটা নিজে রাখার অধিকার সবার থাকা উচিত। 

ধর্মও কে কোনটা পালন করবে সেটা বেছে নেয়ার অধিকার থাকা উচিত। বাবা মায়ের ধর্মই ছেলেমেয়ের পছন্দের ধর্ম নাও হতে পারে। 

যেহেতু ধর্মগুলির নিজের উপরে এত কনফিডেন্স নাই যে, সব ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান দিয়ে তারপরে মানুষকে বেছে নেয়ার সুযোগ দিবে তাই নানারকম ভয় আর লোভ দেখায়ে নাদান বাচ্চার ওপরে চাপায়ে দেয়। এভাবে না করলে তাদের জনসংখ্যা কমে যাবে। ধর্মের পলিসিটাও ধর্মের জন্য ঠিক আছে। 

এখন অভিশ্রুতির মরদেহ কিভাবে সৎকার করা হবে সেটা তার বাবা মায়ের সিদ্ধান্ত। 

এটাতে অভিশ্রুতির কোনো অধিকার নাই। 

কারণ মারা যাবার পরে কী হইলো, কোন ধর্মে হইলো তাতে যে মারা গেছে তার কিছু যায় আসে না। যায়-আসে যারা বেঁচে আছে তাদের। 

অভিশ্রুতি মারা যাবার পরে তার নিজের ওপরে নিজের আর কোনো অধিকার নাই। এখন তার পরিবারেরই সব সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার। তারা যদি অভিশ্রুতিকে বৃষ্টি খাতুন নামে কবর দিতে চায়, সেটাই ভালো। 

কারণ যে মরে গেছে সে মরে গেছে, যারা বেঁচে আছে তাদেরকে আরো অনেকদিন বেঁচে থাকতে হবে। 

গ্রামের একটা মুসলিম মেয়ে শহরে গিয়ে হিন্দু পরিচয়ে জীবনযাপন করছে- এরপরে ওই পরিবারের, ওই মেয়ের মা-বাবা-বোনদের সামাজিক নিরাপত্তা ও অবস্থান কী হবে সেটা মাথায় রাখবেন, ভাই ও বোনেরা। 

আপনাদের বিপ্লব কিন্তু মারা গেছে, বেঁচে নাই। 

যারা বেঁচে আছে তাদেরকে বেঁচে থাকার সুযোগ দেন। আপনাদের সমাজবিপ্লব কিংবা ধর্মবিপ্লব কিংবা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের বিপ্লবের দায় ওদের উপরে না চাপানোর অনুরোধ করি।

পারমিতা পাল: লেখক, ফেসবুক:   যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/ ঢ়ধৎড়সরঃধ.যববস